আইন শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ বাংলাদেশ পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রধানতম এবং সকল নাগরিকের জীবনধারণ ও নিরাপত্তা সেবা প্রদানে নিয়োজিত এবং একটি সুখী ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের বিভিন্ন নিয়ম তুলে ধরা, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধ সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা, অন্যায়কারীকে বিচারের মুখোমুখি করা এ সংস্থার প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা এ বিভাগটি পরিচালিত হয়। রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরগুলোর বাইরে জেলা ও থানা পর্যায়ে পুলিশ সংগঠন রয়েছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা দেশের রাজধানী ও সর্ববৃহৎ নগর ঢাকার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) জন্য ১২ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয় যাদের ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে সংযোজিত করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গোয়েন্দা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাহায্য করা। পতিতাবৃত্তি, মাদক চোরাচালান এবং মানব পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশেষ নারী পুলিশ কন্টিজেন্ট (এস ডব্লিউ পি সি) । সম্পূর্ণভাবে নারী কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত পুলিশের এই শাখাটি অপরাধ তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা এবং নারী অপরাধীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কাজ করে করবে। পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার একটি এলিট ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ক্রমান্বয়ে সভা-সমন্বয়, আলোচনা ও গবেষণার পর সরকার বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সংক্ষেপে র্যাব ফোর্সেস নামে একটি এলিট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ তারিখে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB) জনসাধারণের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে এ ফোর্স গঠন করা হয়। জন্মের পরপরই এই ফোর্সের ব্যাটালিয়নসমূহ সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকে এবং স্ব স্ব এলাকা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এসময় র্যাব মূলত তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন থেকে র্যাব ফোর্সেস পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে। এ ফোর্সের প্রধান দায়িত্ব হলো আভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং এই ধরনের ক্ষতিকারক দ্রব্য উদ্ধার, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অন্যান্য আইন- শৃঙ্খলা-রক্ষা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করা, যে কোন সংঘটিত অপরাধ ও অপরাধীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করা, সরকারী আদেশ অনুসারে যে কোন অপরাধের তদন্ত করা। গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ # পুলিশ হেডকোয়াটৗরে কর্মরত কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর # বন্ধু পুলিশ পুলিশের সাথে জরুরি যোগাযোগ পুলিশ সংক্রান্ত তথ্যাদি
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস